(১)
উনুন জ্বালাতে পারলে, ভাত ফুটবে –
এ আমি মানিনি কক্ষনও।
আমার শস্যখেত ও বর্ষায় একা একা ঘোরা
-পছন্দ প্রথম থেকেই।
তুমি ফুল চেনো ভালো
তুমি গান বাজাও
আমার একতারার শখ খুব
অবাধ্য শব্দ লেখা, আমারই স্বভাব –
গাছদের পাড়ায় আমার একটা বাড়ি এখনও আছে
তুমি এসব বোঝো না –
তুমি আঁচল সাজিয়ে শাড়ি দেখে অভ্যস্ত
-আমি জেনে গেছি, স্বাধীনতা মানে অশর্ত-আনাগোনা।
(২)
পাড়ায় পাড়ায় সন্ধে দেখা গেলে,
প্রদীপ জ্বালাতে হয় আমাকে!
তারপর রুটি-ভাত-দুধ-চন্দন-রান্নাঘর
-এসব ভাল লাগে না বলে, অলক্ষ্মী বলেছ কতবার
জানিয়েছ, শান্ত মেয়েরা সংসার জানে ভালো
শহরের দুপুরে আমি মাছের মতো সাঁতরে বেড়াই
উড়ে যাই ঝুপ করে, বোলপুর
লালমাটি, শালগাছ প্রেম সেরে মাঝরাতে চাবি খুঁজি
রাত নেমে গেলে, নিষেধ বানাও তুমি
নারায়ণ কুপিত হন –
আমার ঘুম ভাঙে দ্রুত।
(৩)
যেভাবে প্রতিটি সঙ্গম শেষে শূন্য হয়ে যাই,
তোমাকে সেভাবে পাইনি কখনও –।
পুরনো দুঃখকে মিথ্যে মনে হয়,
এসব সময়ে !
পুরুষের পায়ে লক্ষ্মীর ছাপ দেখে,
শান্তি হয় খুব।
শান্তি বহু – বহুদূর পিছু পিছু যায়
শাল-পিয়ালের শীর্ষে অন্ধকার নামা পর্যন্ত, আমাদের
দেখা হয়।
শেষ অব্দি, দেহের ওপার থেকে যে মানুষ,
হাত ধরে থাকে –
তার ছায়া, দীর্ঘতর বলে মানি।
পুরুষের পায়ে লক্ষীর ছাপ দারুণ কনসেপ্ট
Bhalo laglo…aro lekhar apekhhaye roilam