আজ যখন নয়া শিক্ষানীতি আবারও শিক্ষাকে পণ্য করে তুলছে, পুঁজির স্বার্থে, সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থে আবারও পথ করে দিচ্ছে মেয়েদের স্কুলছুট হওয়ার, যখন অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা সমাজের বৈষম্যগুলোকেই আরও প্রকট করে দিছে তখন বারবিয়ানার স্কুলের কথা, সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের লেখা চিঠি আরও আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। সলিল দার লেখাতেই জানা যায় বারবিয়ানার স্কুলটি পরবরতিকালে বন্ধ হয়ে গেলেও কিছু বছর পরেই ফ্লোরেন্সের ক্যালেঞ্জানো শহরে সেখানকারই কিছু প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী মিলে আরেকটি স্কুল গড়ে তোলে। বারবিয়ানা তাই কখনই বন্ধ হয় না। সলিল দা চলে গেলেও তাই বারবিয়ানার কথা থেকে যায়। কখনও ফ্লোরেন্সে, কখনও কলকাতায়, কখনও শ্রীরামপুরে। থেকে যায় বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থার প্রত্যয়, অভিভাবকদের ইউনিয়ন গড়ার কথা, এই ব্রাহ্মমণ্যবাদী পিতৃতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থার বুকে রোহিত ভেমুলা, পায়েল তাদভি, বা চুনি কোটালদের অফুরান স্বপ্ন হয়ে।
সেই সলিল দার স্বপ্নকেই জিইয়ে রেখে থাকলো ‘আপনাকে বলছি স্যার’-এর কিছুটা বাছাই অংশ।