এই যে অঙ্ক এর মূলগত কাঠামোতে হয়তো বিভেদ বা বৈষম্য খুঁজে পাবে না তেমন ভাবে। কিন্তু অনেক সময় তার উপস্থাপনায় অনেক গলতি কিন্তু রয়ে যায়, যার দায় একান্তই সমাজের ব্যক্তি মানুষের, যে বা যারা সামাজিক কাঠামোর মোড়কে অঙ্কের সমস্যা বা গল্পগুলোকে সাজান। যেমন, ধরো একটু খেয়াল করলেই দেখবে অঙ্কের বইয়ে মহিলা শ্রমিকরা পুরুষদের চেয়ে কম কাজ করেন, কিংবা ‘বুল্টি’রা ‘বিল্টু’দের চেয়ে কম চকোলেট পায়, এমনকি অংশীদারী অঙ্কেও বাবার সম্পত্তি ছেলে ও মেয়ে সমান ভাগে পায় না। দেখো এগুলো কিন্তু অঙ্কের সমস্যা নয়, এগুলো সমাজের আরোপিত চিত্র যেগুলো অঙ্কের মত একটা বিষয়কে দূষিত করে। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এই ভাষাকে বদলাতে হবে নিজেদের তাগিদেই। শুধু ভাষাগত সমস্যাই নয়, অঙ্ক সংক্রান্ত যে যাবতীয় ‘মিথ’ আমরা শুনে থাকি সেই সবকটিকেই দাঁড় করাতে হবে চ্যালেঞ্জের মুখে। এই যে একটু আগেই বললাম বিভেদের গল্প, সেখান থেকেই জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু মিথ। যেমন, ‘মেয়েরা অঙ্ক পারে না’, ‘বুদ্ধিমান ছাড়া অঙ্ক হয় না’ ইত্যাদি।