আমার জন্মদিনের কয়েক দিন আগে আমি আমাজনে নিজের জন্য একটি খেলনা দেখছিলাম। এখন লকডাউন। দোকানে গিয়ে কিছু কেনা যাবে না। মা বলল, আমাজন থেকে কিছু পছন্দ করতে পারি।
সেখানে আমি অনেক খেলনা দেখতে পেলাম। যেমন টেডি বেয়ার, রান্না বাটি, গাড়ি, বন্দুক আরো কত কি। আমি এই সব রকম খেলনা নিয়েই খেলি৷কিন্তু এসবই আমার কাছে ছিল। তাই আমি একটু অন্য রকম কিছু খুঁজছিলাম।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমি একটা ছেলে পুতুল পেলাম। তার নাম কেন। তার চুলগুলো কোমর পর্যন্ত লম্বা। খুব সুন্দর দেখতে। একবার দেখেই আমার সেই পুতুলটি পছন্দ হয়ে গেল। আজকাল নানা রকম পুতুল পাওয়া যায়। তাদের চোখ, ত্বক, চুল নানা রঙের হয়। আগে শুধু সাদা চামড়ার মানুষের মতো দেখতে পুতুল পাওয়া যেত। আমি নানারকম পুতুল সংগ্রহ করি।
আমি ভাবলাম পুতুলটি কিনব। তাই তারপর আমি ওই পুতুলটির কাস্টমারস রিভিউ দেখতে গেলাম। সেখানে একজন সেই পুতুলটার রিভিউ ভালোই দিয়েছেন। কিন্তু তিনি ওই পুতুলটার চুল কেটে দিয়ে লিখেছেন যে ‘My Ken had a haircut and looks amazing.’ মানে তিনি তাঁর কেন-এর চুল কেটে দিয়েছেন। আর বলেছেন, খুবই সুন্দর দেখতে লাগছে। তিনি চুল কাটার পর কেনের ছবিও দিয়েছেন।
সেটা দেখে আমার খুবই রাগ হলো এবং বিরক্ত লাগলো। বেশিরভাগ লোকেরা ভাবে যে ছেলেদের কখনো লম্বা চুল রাখা উচিত নয়। ছেলেরা বড় চুল রাখলে কেটে দেওয়া হয়। তাই ছেলে পুতুলের বড় চুলও কেটে দেওয়া হয়েছে। আবার মেয়েরা ছোট চুল রাখলে নিন্দা করা হয়। ছেলে আর মেয়েদের পোষাক আর খেলনাও আলাদা করেন অনেকে।
কিন্তু যার যেমন ইচ্ছে সে সেরকম সাজতে পারে। শুধু ছেলেদেরই নয়, মেয়েদেরও যেমন ইচ্ছা তেমন সাজতে দেওয়া উচিত। যদি তাদের ইচ্ছা হয়, ছেলেরা মেয়েদের মতো সাজতে পারে। মেয়েরাও চাইলে ছেলেদের মতো সাজতে পারে।
আমি ঠিক করলাম, একটি কেন পুতুল কিনব। তার চুল কাটব না। তাকে তার মতো সাজতে দেব।
ছবি – সহজিয়া
ঠিক ভেবেছ সহজিয়া।জীবনের সবক্ষেত্রেই এই স্বাধীনতা জরুরী।কলম চলুক।
খুব সুন্দর সহজ করে একটা ভয়ানক কঠিন বিষয়ের গল্প।
একদম ঠিক ভেবেছ সহজিয়া, লিখেছও খুব সুন্দর করে।